মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও নারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে লামা পৌরসভার এলাকার সাবেক বিলছড়ি সাংগ্রাই মেলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। গুরুতর আহতরা হলেন, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য উসাচিং মার্মা (৩৫), থোয়াইনু মার্মা (৭০), মংসা অং মার্মা (৩২), চমং মার্মা (৫৪), উক্য মং মার্মা (২৬), মংথোয়াই মার্মা (৫০), অংচুই থোয়াই মার্মা (১৮), হ্লানুমং মার্মা (২৭), হ্লায়য় মার্মা (৪০), মংসাইচিং মার্মা (৪০), মংসাই চিং মার্মা (২৬), হ্লাচিং মার্মা (৩৮) , ওয়াই নু মার্মা (৩২), থুইচিং মার্মা (১২) ও পাইচিং মার্মা (৩৮)। এরা সবাই ছোটবমু হেডম্যান পাড়া ও সাবেক বিলছড়ি পাড়ার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানায়, লামা পৌরসভা এলাকার সাবেক বিলছড়ি পাড়ার ছেলের সঙ্গে গজালিয়া ইউনিয়নের ছোটবমু হেডম্যান পাড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে গত বছর প্রেম সংঘটিত বিষয় নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনাটি সমাধাও হয়। কিন্তু শালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সাবেক বিলছড়ি পাড়ার লোকজন। ছোট বমু হেডম্যান পাড়ার লোকজন রোববার দুপুরে সাবেক বিলছড়ি সংগ্রাই মেলায় গেলে স্থানীয় রাজিব মার্মা, অংসিং মার্মা, বাবুথুই মার্মা, উক্যওয়াংসহ আরও ২০-২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও নারীসহ উভয় পক্ষের ২০জন আহত হন।

এ বিষয়ে ছোটবমু মৌজা হেডম্যান মংসাখই মার্মা ও পাড়ার বাসিন্দা অংছাথোয়াই মার্মা বলেন, সমাধানকৃত একটি বিষয় নিয়ে এভাবে হামলা করে তারা ধর্মীয় অনুভুতির ওপর আঘাত করেছে। মেলায় দায়ি¦ত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।